আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখি হয়

 কোয়ার্টার ফাইনালে জয়োৎসবের রঙ কমলা হবে নাকি আকাশি-সাদা আগে থেকে বলার উপায় নেই। কারণ ফুটবল ঐহিত্য, শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে এলিট দলগুলোর শুরুর তালিকায় থাকবে নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনার নাম। বিশ্বকাপে পূর্বেও তারা পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। যার চার ম্যাচই নকআউট পর্বে। ওই চার ম্যাচ নিয়ে দু’দলের কান্না কিংবা উত্তাপ ছড়ানোর গল্প কম নয়। 



তাদের লড়াই পূর্বেও উত্তাপ ছড়িয়েছে, শোধ-প্রতিশোধের দামামা বেজেছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ম্যাচ নিয়েও ছড়াচ্ছে উত্তাপ। ডাচ ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গ্যাব্রিয়েল বাসিস্তুতা যেমন বলেছেন, তাদের দলে মেসি,আলভারেজ, ডি পল আছে। ভালো সুযোগ আছে তাদের। 



আবার ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নকআউটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে জয় এনে দেন ডেনিস বার্কক্যাম্প। তার ওই গোলের কারিগর ফ্রাঙ্ক ডি বয়ের বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ১৯৯৮ বিশ্বকাপের মতো ডাচদের আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে। ফ্রেঙ্কি ডি জংকে এখনও সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখিনি। সে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। কৌশলগত কারণে আর্জেন্টিনার ম্যাচে তার ভালো করার সুযোগ আছে।’



আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখি হয়


১৯৭৪ আসরে। তখন ইয়োহান ক্রুইফের যুগ। দলটি আর্জেন্টিনাকে তাদের টোটাল ফুটবল খেলে দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। ওই হারের শোধ পরের বিশ্বকাপেই নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ঘরের মাঠে ফাইনালে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ক্রুইফের কমলা জার্সির দলকে। স্বেচ্ছাচারি ম্যাচ খেলার কারণে বিশ্বকাপ ইতিহাসে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে আছে ওই ম্যাচ। 


ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ওই হারের শোধ তোলে। আকাশি-সাদা জার্সির দলকে হারায় ২-১ গোলে। ম্যাচের ১২ মিনিটে লিড নিয়েছিল ডাচরা। ১৭ মিনিটে গোল শোধ করেছিল আলবিসেলেস্তেরা। ৯০ মিনিটে ডেনিস বার্কক্যাম্প গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন।  

Comments

Popular posts from this blog

'I agonized over it': Behind the scenes with the reporter who uncovered the RFK Jr./Olivia Nuzzi story

Flick: García's Red Card Completely Changed the Game Against Barcelona